সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
ডেক্স নিউজ: দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম
বলেছেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। এলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে থাকবে চারস্তরের নিরাপত্তা বলয় এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহে যারা নামাজ আদায় করতে আসবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে ঈদগাহ ময়দানে আসার সময় ছাতা এবং জায়নামাজ ব্যতীত অন্য কোনও কিছু না আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বেলা ১১ টায় জাতীয় ঈদগাহ নিরাপত্তা-ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
রাজধানী বাসিদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন,গত দু’বছর মানুষের অংশগ্রহণে সেভাবে ঈদগায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার মানুষ অনেক বেশি হবে। আমরা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কাজ করি। “আমাদের এই শহরে ঈদগাহের সংখ্যা কম। ঈদগাহ ও মসজিদ মিলে ১৪৬৮টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কোন কোন জায়গায় হয়তো একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে সারা শহরে মুসলমান ভাইয়েরা ঈদ উদযাপন করবেন। প্রতিটি মসজিদ এবং ঈদগাহে যেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে তার প্রত্যেকটা জায়গায় আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে”।
প্রতিটি মসজিদ ও ঈদগাহে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আগে থেকেই ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। যারা ঈদগাহ ময়দানে ঢুকবেন তাদের আরচুয়ারি এবং নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকি পার হয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ডিএমপির সকল থানাকে মুসল্লিদের নিরাপত্তার নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
ঈদের দিন নগরবাসীকে সময় হাতে রেখে ঈদগা মাঠে প্রবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার বকেন, ঈদগাহে ঢোকার সময় লাইন থাকে। নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে তল্লাশি করে ভেতরে ঢুকানো হয়, সেজন্য কিছুটা সময় লাগে। আপনারা জামাতে অংশ নিতে একটু আগে চলে আসবেন।
ঢাকা শহর এখন ফাঁকা, এখন ছিনতাই-ডাকাতি বেড়েছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা কীভাবে দেখছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা গত কয়েক দিন ধরে ছিনতাইকারীরের তালিকা করেছি। ইতিমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছিনতাইকারী ও চোরকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের ৫০টা থানায় অতিরিক্ত ফোর্স দিয়েছি, ২৫০০ ফোর্স প্রতি রাত্রে ডিউটি করবে। প্রতি থানা থেকে ১০টা করে মোট ৫০০টি মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। ঢাকা শহরকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক চেকপোস্ট থাকবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে “ঢাকা শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে আমাদের টিম থাকবে, সেখান থেকে মনিটর করা হবে কোথাও কোন অস্বাভাবিক কিছু ঘটছে কিনা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। তবে, নগরবাসি ও সর্বস্তরের নাগরিকদের এব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
নিজের নিরাপত্তা সবার আগে নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের ছুটিতে
যারা গ্রামে যাবেন, তারের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লকারে রাখেন। সারা বিশ্বেই এধরনের লকার ব্যবস্থা রয়েছে। নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণপদ রায়, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামান, বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্হিত ছিলেন।